What is "Port" and "Protocol"??
আজকের পোস্টটা একটু বড় হতে পারে,, তবে আমি আপনাদের ভালোভাবে বুঝানোর জন্য আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি এই পোস্টে,,,
সবাই আশা করি ভালোই আছেন, আজকে আমরা জানতে যাচ্ছি পোর্ট বা প্রোটোকল সম্পর্কে,,
সহজ ভাবে বলি,, ধরুন আমি এখন আপনাদে পোর্ট এবং প্রোটোকল এর ব্যাখ্যা এই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি,, (এইটার মানে ধরে নিন আমি লিখাটি পোস্ট করার আগের কথা বলছি), আমি ধরেন এখনও পোস্ট করি নি এই লিখা টা,, তাহলেতো আপনারা আমার কাছে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য এই পোস্টে কমেন্ট করতে পারবেন না,, (যেহেতু আমি তখন পোস্ট করিই নি, সেহেতু আপনারা আমার পোস্টও পাবেন নাহ, কমেন্টও করতে পারবেন না) কমেন্ট যদি করতেই হয় তাহলে সেটি আমার পোস্ট করার পরেই করতে পারবেন,, বুঝেন নি?? 🤔
আরো সহজ করে বুঝাই,, ধরেন আপনি আর আমি এখন ভিডিও কলে অথবা সরাসরি কথা বলছি,, এখন এই ভিডিও কলে যদি একসাথে আপনিও কথা বলেন সাথে আমিও কথা বলি (অর্থাৎ, দুই জন পৃথক ভাবে নয়,, একই সময়ে) মানে আপনার কথার শেষ হওয়ার আগে আমিও কথা বলা শুরু করে দিয়েছি,, তাহলে কী ঘটবে?? আমরা দুই জনের এক জনেও আমাদের কথোপকথন বুঝতে পারবো না,, কারণ একসাথে আমার কথাও আসবে সাথে আপনার কথাও আসবে, ফলে এক রকমের নয়েজ "Noise" তৈরি হবে,, তার মানে আমরা কেউই আমাদের কথা বুঝবো না এবং আমাদের কথোপকথন অপূর্ণ হয়ে যাবে,, সুতরাং এই "Noise" থেকে মুক্তি পাওয়া বা যাতে আমরা এই "Noise" এর মাঝে না পড়ি তার জন্য আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলি,, যেমনঃ হয় প্রথমে আপনি কথা বলবেন তারপর আমি আপনার কথা বুঝে সেটার উত্তর দেওয়ার জন্য আমি আপনার সাথে কথা বলবো, আর নাহয় আমি প্রথমে কথা বলবো, তারপর আমি,, তাহলে আমরা দুই জনেই আমাদের কথা বুঝতে পারবো এবং আমাদের কথোপকথন সম্পুর্ন হবে,,
আসল পয়েন্ট এইখানেই,,,
আমরা যেইরকম আমাদের মাঝে যাতে কোনো "Noise" তৈরি নাহত তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলছি,, ঠিল তেমনি আপনি যখন ইন্টারনেট কোনো কাজ করছেন,, সেখানেও কিন্তু কিছু ইন্সট্রাকশন না কিছু নিয়ম রয়েছে,, আর ইন্টারনেট যে নিয়ম গুলো রয়েছে সেগুলোই হলো প্রটোকল,,
এখম আসা যাক আসল আলোচনায়,,
"Google" এর মাধ্যমেই আপনাদের বুঝাই,, আমরা সবাই জানি গুগলের অনেক সার্ভিস আছে,, যেগুলো আমরা প্রায় প্রতিনিয়তই ব্যবহার করে থাকি যেমন, "Goofle Search Engine", "Google Mail বা এক কথায় Gmail", " Google Drive বা Drive", "Youtube", "Google Cloud Console" এইরকম আরাও অনেক সার্ভিস গুলো,,
ধরেন এখন আপনি সহ আপনার আরো দুই জন বা তিনজন বা আরো অনেক হতে পারে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতেসেন,, ওইখানের মাঝে আপনি গুগলের "Search Engine" কিছু সার্চ করছেন,, ঠিক একই সময়ে আপনার অন্য একজন বন্ধু "Gmail" মাধ্যমে কোনো মেইল অন্য একজনের কাছে পাঠাচ্ছে,, অন্য আরেকজন বন্ধু "Google Drive" ব্যবহার করে কিছু ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড এবং আপলোড করতেছে,, এখন সুধু আপনারা কয়েকজন না,, পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্ত থেকে অন্যান্য অনেক মানুষও কিন্তু গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করছে,, এখন ধরেন সবাই যদি একসাথে সব সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য গুগলে মেইন আইপি তে হিট করে তাহলে কিন্তু গুগল ঠিকঠাক মতো কাজ করতে পারবে না,, মানে "Traffic" ঠিকঠাক মতো পরিচালনা করতে পারবে না,, ঠিক এই সমস্যাটা দূর করার জন্যই "Port" বা "Protocol" ব্যবহার করা হয়,,
যেমন ধরেন আপনি যেহেতু গুগলে সার্চ করে কোনো ওয়েবসাইটে গেলেন,, এখন সে ওয়েব সাইটের কিন্তু একটা প্রোটোকল রয়েছে,, যেটাকে আমরা "http = Hypertext Transfer Protocol" বা "https = Hypertext Transfer Protocol Secure" (যেটা "SSL = Secure Socket Layer & TLS = Transport Layer Security" ব্যবহার কর) নামে জানি,, এবং এই প্রোটোকল গুলোর কিন্তু একেকটা করে ইউনিক নাম্বার থাকে যেটাকে আমরা Port Number বলে থাকি,, আর এই "http" এর স্টান্ডার্ড পোর্ট নাম্বার হলো "80" এবং "https" এর স্টান্ডার্ড পোর্ট নাম্বার হলো "443" এইটা হলো ওয়েবপেইজ বা ওয়েব-আপ্লিকেশনের পোর্ট নাম্বার,,
ওই একই সময়ে আবার ধরেন আপনার অন্য একজন বন্ধু "Gmail" ব্যবহার করে অন্য একজনের কাছে মেইল পাঠাচ্ছে তখন সে যাবে অন্য রাস্তা দিয়ে,, তখম কিন্তু সে পোর্ট "80" এর রাস্তা দিয়ে যাবে না,, "Gmail" প্রায় তিনটি প্রোটোকলে কাজ করে সে প্রোটোকল গুলোর নাম হলো "SMTP = the Simple Mail Transfer Protocol" যেটা পোর্ট "25"," 465", "587", "2525", পোর্ট গুলোয় কাজ করতে পারে,, এইছাড়া আরো দুইটি প্রোটোকল গুলো হলো "POP = the Post Office Protocol" এবং "IMAP = the Internet Message Access Protocol" এইগুল সম্পর্কে বিস্তারিত আর না বললাম,,
এইখানে যদি আবার আপনি "Ping" করে দেখতে চান সেউ সার্ভিসটাকি আসলেই চলতেসে নাকি বন্ধ,, তখন কিন্তু সেটা আপনি ওয়েবসাইটে মানে "http বা https" এ গিয়ে দেখতে পারবেন না,, সেটা আপনার "cmd" বা "terminal, bash, shell" যেটাই বলুন সেখানে গিয়ে কমান্দ রান করে দেখতে হবে আর সেই "Ping" কাজ করে "ICMP = Internet Control Message Protocol" যার যার কোনো নির্দিষ্ট পোর্ট নাম্বার নেই কিন্তু সে "ICMP" প্রোটোকল ব্যবহার করে,,
তারপর আবার অন্য ফ্রেন্ড যদি "Google Drive" এ কিছু আপলোড বা ডাউনলোড করে তখন সেটা কাজ করে "FTP = File Transfer Protocol" প্রোটোকলে,, যেটার স্টান্ডার্ড পোর্ট নাম্বার "21"
এমন অন্য আরো পোর্ট আছে তারমধ্য "SSH = Secure Shell " যার স্টান্ডার্ড পোর্ট নাম্বার "22", যেটা দিয়ে রিমোটলি কোনো একটা সার্ভরেরে এক্সেস নেওয়া হয় " Cmd, Terminal, Shell, Bash" যেটাই বলুন তার মাধমে,,
এমন না যে সব প্রোটোকল সময় তার স্টান্ডার্ড পোর্টেই কাজ করবে,, তারা অনেক সময় অন্যান্য পোর্ট গুলোও ব্যবহার করতে পারে,, ধরেন https এর স্টান্ডার্ড পোর্ট নাম্বার 443,, সে চাইলে অজন্য পোর্ট নাম্বারও ব্যবহার করতে পারে,,
এখন আসি এই "Port" বা "Protocol" সিস্টেম চালু করার আসল কারণ কী??
ধরেন আপনি একসাথে গুগলের সব সার্ভিস ব্যবহার করতে চাচ্ছেন,, তখন কিন্তু তাদের একেক একটা সার্ভিস ব্যবহারের জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা "IP Address = Internet Protocol address" দিতে হবে,, কিন্তু এইখানে সুধু আপনি একা না,, পৃথিবীতে অন্যান্য মানুষরাও যদি সব সার্ভিস একসাথে ব্যবহার করতে যায় তাহলে তাদেরো আলাদা আলাদা "IP Address" দিতে হবে যা কখনোই সম্ভব না,, তাই এই সমস্যা সমধান করতেই "Port এবং Protocol" এর আবির্ভাব,, মানে এই Port দিয়ে সব সার্ভিসকে আলাদা আলাদা Protocol-এ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে,, আর আমিতো এইখানে একটা সার্ভরের সুধু মাত্র কিছু সার্ভিসের কথা বললাম,, কিন্তু একটা সার্ভারে প্রায় শত বা হাজারের উপরেও সার্ভিস থাকতে পারে যার জন্য অবশ্যই আলাদা আলাদা পোর্ট এবং প্রোটোকল প্রয়োজন,,
এখন পর্যন্ত মোটমাট 65,535 টি Ports আছে,, একেক পোর্টের একেক কাজ,,
আজকের জন্য এতটুকুই,, আমি চাইলে আরো বিস্তারিত বলতে পারতাম,, কিন্তু লিখা বড় হয়ে গেলে আপনাদেরও পড়তে বিরক্তি বোধ হবে তাই আর বিস্তারিততে যাচ্ছি না,,
হ্যাপি হ্যা*কিং 💀🤖
©️ Maksudur Rahaman & Github : h4x0r3rr0r
No comments:
Post a Comment