Monday, February 6, 2023

Modes Of Wi-Fi && Wi-Fi Channels

 


What Is W-Fi (Wireless Fidelity)?? 

And It's H*a*c*k*ing.......


আজ আমরা জানতে যাচ্ছি,, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কী এবং এটির হ্যা*কিং সম্পর্কে। অর্থাৎ, কীভাবে এটি হ্যাক করা যায় বা কতটুকুই বা করা সম্ভব সে সম্পর্কে,, (বি.দ্রঃ এই পোস্টটি শুধু মাত্র যারা একেবারেই বিগেইনার তাদের জন্য,, তাই আমি আশা করি যারা আগে থেকে এই ফিল্ডে আছেন তারা অযথা কোনো কমেন্ট করবেন না, যেটা পোস্টটির সৌন্দর্যতা নষ্ট করে)


ওয়াই-ফাই কী এবং কীভাবে কাজ করে তা আমি আলোচনা করেছি "https://haxorerror.blogspot.com/2023/02/what-is-wi-fi-how-does-it-work.html" এই পোস্টে,, 

এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কিছু Threats বা এট্যাক নিয়ে আলোচনা করেছি "https://haxorerror.blogspot.com/2023/02/dos-attack-at-wi-fi-network-part-1.html" এই পোস্টে,,


যারা দেখেন নি দেখে আসতে পারেন,,


দ্বিতীয় পর্যায়,, ভাগ-দুইঃ

এই ভাগে আমরা জেনে নিবো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সম্পর্কে,, 


আমরা প্রথমেই যেনে নিবো ওয়াই-ফাই এর অপারেটিং মোড গুলো সম্পর্কে,, ওয়াই-ফাই এর অপারেটিং মোড মুলত দুইটি,, সেগুলো হলোঃ

১. ম্যানেজড মোড (Managed Mode)

২. মনিটর মোড (Monitor Mode)


প্রথমেই বলে রাখি আমরা যখন কোনো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হতে যাই তখন কিন্তু আমাদের একটা ওয়াই-ফাই এডাপ্টারের প্রয়োজন হয়,, এই ওয়াই-ফাই অ্যাডাপ্টার ছাড়া কিন্তু আমরা নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হতে পারি না,, তাই আমাদের আলাদা করে আমাদের কিছু ওয়াই-ফাই এডাপ্টার ব্যবহার করতে হয়,, এখন আপনারা বলতে পারেন আমরা যে মোবাইলের মধ্যে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কানেক্ট করি ওইটা কিভাবে ওয়াইফাই এডাপ্টার ছাড়া কানেক্ট হয়,, বলে রাখা ভালো আমাদের প্রত্যেকের ডিভাইসে আগে থেকে এক ধরনের ওয়াইফাই এডাপ্টার দেওয়া থাকে যার কারণে আমার সহজেই একটা নির্দিষ্ট ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হতে পারি,, এটি মূলত থাকে ম্যানেজড মোডে,, এবং আমরা আলাদা করে যে ওয়াই-ফাই এডাপ্টার গুলো ইউজ করি সেগুলোর কিছু কিছু এডাপ্টার গুলোর মধ্যে মনিটর মোড সাপোর্টেড,, সেগুলোকে মুলত চিপ (Cheap বা Cheapest) এডাপ্টার বলা হয়,, যেটা দিয়ে মুলত একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এর আরো এডভান্স ফিচার গুলো এক্সেস করতে পারি এবং ভালো করে পর্যবেক্ষন বা মনিটরিং করতে পারি,,


মনিটর করা বা পর্যবেক্ষন করাটা আসলে কী??

উদাহরণ দিয়ে বলি,, আমরা যখন স্কুলে পড়ালেখা করতাম বা এখন যারা পড়ালেখা করেন তারা কিন্তু জানেন প্রত্তেকের ক্লাস রুমে একজন করে ক্লাস ক্যাপ্টেন থাকতো,, যে পুরো ক্লাস কে দেখে শুনে রাখতো,, কে কী করতেসে,, কে কোথায় যাচ্ছে এসব কিছু,, ঠিক তেমনি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ওই ক্লাস ক্যাপ্টেনটা হলো আমাদের চিপেস্ট (Cheapest) ওয়াই-ফাই এডাপ্টার গুলো,, যে একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পুরো গতিবিধি, বা একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করছে এসব মনিটরিং বা পর্যবেক্ষন করে,,


এখন আমরা জানতে যাচ্চি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলোর চ্যানেল সম্পর্কেঃ


আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলো যেহেতু রেডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিটের সাহায্যে চলাচল করে (যেটা আমি আমার ওয়াই-ফাই সিরিজের প্রথম পর্যায়ে আলোচনা করেছি তাই এইখানে বিস্তারিত বলছি না) সেহেতু এইটার একটা রাস্তা বা পাথ (Route বা Path) এর প্রয়োজন,, এইখানে সেই রাস্তা বা পাথটাই হলো চ্যানেলস (Channels)


এখন আসা যাক এই চ্যানেলস গুলো কীভাবে কাজ করে সেদিকটায়ঃ


এই ক্ষেত্রে,,

প্রথমে কথা বলা যাক "Wi-Fi Frequency Bands" নিয়ে,, আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলো যেহেতু রেডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিট সিস্টেম ব্যবহার করে সেহেতু এইখানে ডাটা ট্রান্সফার অবশ্যই কিছু তরঙ্গ বা ফ্রিকোয়েন্সি (Frequency) এর মাধ্যমে হয়ে থাকে,, এখন ওই সব ফ্রিকোয়েন্সী একসাথে মিলালে যে সিস্টেমটি তৈরি হয় সেটাকেই "Wi-Fi Frequency Bands" বলা হয়,, এবং আমরা যখনই এই "Wi-Fi Frequency Bands" টাকে কিছু কিছু ভাগে ভাগ করে দেই সেগুলোকে বলা হয় "Small Bands" যেগুককেই মুলত একেকটা চ্যানেল (Channel) বলা হয়,, এখন এই "Small Bands" বা চ্যানেলস গুলোর মাধ্যমে যে ডাটা বা তথ্য গুলো ট্রান্সফার হয় সেটাকে বলা হয় "Medium To Communicate"


দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কথা বলা যাক ওয়াই-ফাই চ্যানেল এর ফ্রিকোয়েন্সী গুলো  নিয়েঃ (এই বিষয়টা ভালো করে বুঝে নিন,, এইটা কিন্তু আমাদের এট্যাকের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে)


আমরা বর্তমানে যে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করি সেগুলোর ফ্রিকোয়েন্সী হলো 2.4 GHz,, যেটার চ্যানেল সংখ্যা হলো মোট 11 টি,, অর্থাৎ, যে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলো 2.4 GHz সম্পন্ন ফ্রিকোয়েন্সী ব্যবহার করে সেগুলোর মধ্যে 11 টি চ্যানেল থাকে,, যেগুলোর যেকোনো একটি চ্যানেল ব্যবহার করে আমরা ডাটা ট্রান্সফার করতে পারি,,


কিন্তু,, বর্তমানে আরাও এডভান্স ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বের হয়েছে যেগুলোর ফ্রিকোয়েন্সী হলো 5 GHz যেগুলোর চ্যানেল সংখ্যা 45 টি,,

অর্থাৎ, আমরা এই 45 টি চ্যানেলের যেকোনো একটি আমরা ডাটা ট্রান্সফার এর জন্য ব্যবহার করতে পারি,,


এখন কথা বলা যাক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলোর কিছু বড় সমস্যা বা ভুল-ক্রুটি এবং এগুলোর ভয়াবহতা নিয়েঃ


1. Security :---------

আমরা জানি আমাদের প্রত্তেকের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে দুটো জিনিস থাকে,, তার একটি হলো ESSID যেটি হলো আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নাম,, এবং অপরটি হলো BSSID যেটা হলো আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের ম্যাক (MAC Address) এড্রেস,, এখন আসা যাক আসল টপিকে,, আমাদের এন্ড্রোয়েড ডিভাইস গুলো যখনই কোনো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বা হটস্পট এর সাথে কানেক্ট হতে যায় তখন যদি সেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড আগে থেকে ওই এন্ড্রোয়েড ডিভাইসে তাহেক তাহলে সেই ডিভাইসটি অটোমেটিক সেই নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হয়ে যায়,, এখন ঠিক তখনই যদি আবার একই নামের অন্য একটা নেটওয়ার্ক বা হটস্পট চালু হয়ে গেলে আমদের এন্ড্রোয়েড ডিভাইস এর ওয়াই-ফাই গুলো সেই নেটওয়ার্কের সাথেও কানেক্ট হয়ে যায়,, (সেইম পাসওয়ার্ড থাকলে বা একেবারেই কোনো পাসওয়ার্ড না থাকলেও) যেটা আমাদের এন্ড্রোয়েড ডিভাইস এর ওয়াই-ফাই গুলোর খুব বড় একটি ভুল বা দুর্বলতা (Vulnerability),, অর্থাৎ, আমাদের মোবাইল গুলো এক নেটওয়ার্ক এর মতো অন্য একটি নেটওয়ার্ক পেলে সেটার সাথেই কানেক্ট হয়ে যায় কোনো রকম অথোরাইজেশন ছাড়া (যখন ESSID একই হয়),, এইরকমই কিছু ভুল-ক্রুটি বা Vulnerability আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বা রাউটার গুলোর মধ্যে আছে,, যেগুলোর মাধ্যমে একজন এট্যাকার খুব সহজেই আমাদের নেটওয়ার্কে এট্যাক পারফর্ম করতে পারে,,


2. Health Concern :---------

আমাদের ওয়াই-ফাই রাউটার বা নেটওয়ার্ক গুলো যেহেতু রেডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিট সিস্টেমে ডাটা ট্রন্সফার করে সেহেতু আমাদের মস্তিষ্কেরও কিছু ক্ষতি করে,, যেহেতু এইটা এক ধরনের ফ্রিকোয়েন্সী,,


3. Small Range :---------

সাধারণ আমাদের ওয়াই-ফাই রাউটার বা নেটওয়ার্ক গুলোর রেঞ্জ অনেকটাই কম হয়ে থাকে,, সেহেতু আমরা আমাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ওয়াই-ফাই রাউটার বা নেটওয়ার্ক এর রেঞ্জ বাহিরে গেলেই ডিসকানেকটেড হয়ে যাই,, ফলে আমাদের ইন্টারনেটে চলমান অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যায়,,


4. Limited Bandwidth :---------

যেহেতু আমরা উপরে আলোচনা করেছি আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক গুলোর ফ্রিকোয়েন্সী অনুসারে তাদের চ্যানেল নির্দিষ্ট করে দেওয়া সেহেতু আমরা চাইলেও এর বাহিরে আলাদা করে অন্য চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবো না,, তবে ভবিষ্যতে আরো উন্নত ফ্রিকোয়েন্সীর রাউটার বা নেটওয়ার্ক আসলে আমরা আরো বেশি চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবো,,


5. Speed Limitation :---------

আপনারা বলতে পারেন এইখানে আবার স্পিড এর জিনিসটা কেনো আনলাম,, বুঝিয়ে বলি,,

আমাদের রাউটার গুলো যেহেতু ওয়াইরলেস বা তারবিহিন ভাবে আমরা ব্যবহার করি সেহেতু এটি ফ্রিকোয়েন্সী এর মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করে,, সেহেতু এটি অনেকটা ধীরেই কাজ করে,, অন্যাদিকে আমরা রাউটারের সাথে ইথারনেট ক্যাবল (Ethernet Cable) লাগিয়ে ব্যবহার করলে আমাদের ডাটা অনেকটাই দ্রুত ট্রান্সফার হয়,,


ওয়াই-ফাই হ্যা*কিং এর প্রসেস গুলো বুঝতে আগে আপনাদের এসব জানতে 

হবে,, তাই আমি প্রথমেই এসব জানিয়ে দিচ্ছি,, আপনাদের-ও ধৈর্য্য ধরে এইগুলো বুঝতে হবে,, আমি আশা করি যাদের আনইথিক্যাল মন-মানসিকতা নেই তারা অবশ্যই ধৈর্য্য ধরবে,, লেখায় ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল,, 



আজ এতটুকুই,, 

হ্যাপি হ্যা*কিং 💀🤖

চলবে...............


©️ Maksudur Rahaman & Github : h4x0r3rr0r

No comments:

Post a Comment

Some Useful Automation Tools For Bu Bounty Hunting

  আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু এবং আদাব,, সবাই ভালোই আছেন আশা করি,, আজ আপনাদের সাথে কিছু টুলস এর নাম শেয়ার করতে যাচ্ছি ...